কবিরাজের কেরামতিতে অন্তঃস্বত্ত্বা কিশোরী, অতঃপর…

যে সমস্ত মানুষ সনাতনী ওষুধ চর্চা করেন সাধারণ ভাষায় তাদের কবিরাজ বলা হয়। আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছে যারা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে না গিয়ে কবিরাজের শরণাপন্ন হচ্ছেন। আর কবিরাজও ঝাড়ফুঁক দিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন। কোনো কোনো কবিরাজ আবার জিন তাড়ানোর নামে নারীদের সঙ্গে গোপন খেলায় মেতে ওঠছেন।

আজ আপনাদের এমনই এক কবিরাজের গল্প শোনাবো। ঘটনাটি কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের। সেখানকার কথিত এক কবিরাজ জিন তাড়ানোর কথা বলে এক কিশোরীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছেন। যার ফলে কিশোরীটি অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়েছে। এই ঘটনায় আবুল কাসেম (৬৫) নামে ওই কবিরাজকে আটক করেছে পুলিশ।

কাসেম কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের হাবিব উল্লাহর ছেলে। তাকে আদালতের মাধ্যমে গতকাল কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে বরুড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, কথিত জিন দ্বারা ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে আবুল কাসেম বিভিন্ন রোগের অপচিকিৎসা দিয়ে আসছেন। গত ছয় মাস ধরে তিনি জিন তাড়ানোর কথা বলে এক কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে কিশোরী অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন বিষয়টি স্থানীয়দের জানান।

গত রবিবার সন্ধ্যায় এলাকাবাসী আবুল কাসেমকে আটক করে পুলিশে দেন। বরুড়া থানার ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, কথিত কবিরাজ আবুল কাসেমকে আটক করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে কুমিল্লা মেডিকেলে।